আমি আর আমার দুই বন্ধু
নিচের ছবি দুটো আসলেই স্মরণীয়। দেখলেই মনে পরে সেই দিনের কথা, হাসিও পায় অনেক।
পায়ে হেঁটে ভ্রমণ সরকারি কলেজ থেকে কুমিল্লা সেনানিবাস (আর্মি স্টোর):
কলেজের অনুষ্ঠানের দায়িত্ব পালনে বিএনসিসি সর্বদা নিরলস, থাকে না ক্লান্তি থাকে না বহিঃচিন্তা। লক্ষ্য একটাই আগামীদিনের আয়োজনে অনন্য নজির স্থাপন। যা বরাবর আমরা করে এসেছি।
তবে তার মাঝে লুকিয়ে আছে অজস্র মজার ঘটনা।
প্লাটুন থেকে রওনা হলাম আমি, ক্যাডেট কর্পোরাল মেরাজ, ক্যাডেট কর্পোরাল রাফি গন্তব্য আর্মি স্টোর পরবর্তী আয়োজনের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনবো।
তবে বিপত্তি ঘটলো এখন, তিন বন্ধু কথা বলতে বলতে আমরা রেসকোর্স উড়াল সেতু পাড় করে যেখান থেকে লেগুনায় উঠার কথা ছিল তারো অনেকটা সামনে চলে যাই যদি সে দিন লেগুনা ভারি সংঙ্কট লক্ষণীয়। ময়নামতি রেজিমেন্ট - এর কাছাকাছি গিয়ে আমাদের টনক নড়লো আমরা অনেকটা পথ চলে এসেছি হেঁটে। আসবো নাই বা কেন আমাদের প্রিয় ক্যাডেট কর্পোরাল রাফি লেগুনা না পেয়ে এক অমর বাণী প্রদান করে ছিল যার থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি আর ক্যাডেট কর্পোরাল মেরাজ হাঁটা শুরু করি। ক্যাডেট কর্পোরাল রাফি - র বাণীটি ছিল,
দোস্ত চল হাইট্টা যাইগা বেশি না দশ মিনিটের রাস্তা। দশ মিনিট লাগবো।
তার বাণী মেনে ৫৫ মিনিট হাঁটার পড় ক্যাডেট কর্পোরাল মেরাজ আবিষ্কার করলো যদি একটি বাস ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে চলে তাহলে আমাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে ১০ মিনিট লাগে। আর সে জায়গাতে আমরা তিনজন হাঁটছি। বুঝেন ব্যাপারটা।
প্রায় ১ ঘন্টা পর আমরা একটি ছোট ক্যাফে থেকে সামান্য পানীয় পান করলাম, করতে করতে রাফি আবার সেই বাণী প্রদান করলো, আরে রাখ! আর দশ মিনিট লাগবো যাইতে। (মেরাজ কথা টা শুনে কি যে করলো)
তবে তিন জনের কারোই ক্লান্ত বা রাগী মনোভাব প্রকাশ হলো না বরং আমরা বিশ্ব রোডের পাশে থাকা পায়ে হাঁটার রাস্তা ধরে হাঁটছিলাম, বালি চোখে মুখে বালি ঢুকছে আর আমরা তিন জন চশমা, রোদ প্রতিরোধক চশমা পড়ে বিন্দাছ ছবি তুলতে তুলতে এগিয়ে যাচ্ছিলাম যার মধ্যে আছে উপরের দুইটি ছবি।
হাঁটতে হাঁটতে সেনানিবাসের সামনে পৌঁছাতে আমাদের প্রশান্তি এলো যাক, তবে এলাম তার পর আর্মি স্টোরের কাজ শেষ করলাম।
ফেরার পথে:
মেরাজ বললো,
চল আবার হাইট্টা হাইট্টা যাই।(মজার ছলে)
রাফি বললো,
পাগল নাকি গাড়িতে উঠ বেডা।
তার পর গাড়িতে করে রেসকোর্স উড়াল সেতু পর্যন্ত তার পর আবার হেঁটে হেঁটে প্লাটুনে এসে পৌঁছাই সন্ধ্যা ৭:৩৬ নাঘাত। তারপর ঘটে আরেক ঘটনা সেটা আসলে কোচিং সংক্রান্ত অন্য একদিন বলবো।
No comments:
Post a Comment