মাইকিং - এর শব্দটা কি যে যন্ত্রণাদায়ক....
চিত্রটা হয় এমন হতে পারে,
উচ্চ জনবহুল একটা শহরের এমন একটা জায়গায় আপনি দাঁড়িয়ে আছেন যেখানে চৌরাস্তা/সোজা লম্বা রাস্তা আছে। আপনি স্থির দাঁড়িয়ে আছেন আর দেখছেন, আপনার চোখের সীমা যতদূর দেখতে পারছেন ততদূর মানুষ কেউ কর্ম ব্যস্ততায়, কেউ টং - এর দোকানে চা বিক্রি করছে আবার কেউ গ্লাসের সাথে চামুচের টিং টিং শব্দের মাধ্যমে মিশে যাও দুধ, চিনি দেওয়া চা খাচ্ছে। কেউ ভ্যান, রিক্সা, আটো, মোটরসাইকেল, সাইকেল, গাড়ি ইত্যাদি চালাচ্ছে। কেউ আবার ঐ চলন্ত রিক্সায় তাড়াহুড়ো, চঞ্চলতা নিয়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাচ্ছে। আবার কেউ রিক্সায় বসে পরিবেশ উপভোগ করছে। আর লম্বা রাস্তার দুই পাশে থাকা ফুটপাতটি জোরদখল করে জীবিকার টানে কিছু ছোট ছোট কাপড়, তালা-চাবি মেরামতকারীর, ঝালমুটির, চটপটি-ফুচকা কিংবা বিভিন্ন জুস কর্ণার বা ফুড কর্ণারে দোকান তাদের মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্য আর জীবিকারটানে দর-দাম হাকাচ্ছে। ক্রেতারাও প্রয়োজনের তাগিদে ৫ টাকার পণ্য ১০ টাকায় কিনার জন্য ভীড় করছে।
আগে যেখানে ১০টাকা ঝাল মুড়ি বানাতে ৭-৮ মুট মুড়ি নিতো সেখানে আজকের সময় ব্যবসায়ীরা ১০ মুট মুড়ি নিয়ে চামুচ ব্যবহার করে দুই মুট সমপরিমাণ মুড়ি ১০টাকা করে ৫ জনের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে। আপনাকে বুঝতে হবে এ শহরে পণ্যের মূল্য অনেক বেশি, কমতেই চায় না।
(কাজের বা অবসর দুই সময়ই)
তবে যদি এটা ঐতিহ্য ধরে কল্পনা করা হয়, তাহলে কল্পনার জগতে সুন্দর একটা চিত্র কল্পনা করা সম্ভব।
তবে যদি এটা ঐতিহ্য ধরে কল্পনা করা হয়, তাহলে কল্পনার জগতে সুন্দর একটা চিত্র কল্পনা করা সম্ভব।
চিত্রটা হয় এমন হতে পারে,
উচ্চ জনবহুল একটা শহরের এমন একটা জায়গায় আপনি দাঁড়িয়ে আছেন যেখানে চৌরাস্তা/সোজা লম্বা রাস্তা আছে। আপনি স্থির দাঁড়িয়ে আছেন আর দেখছেন, আপনার চোখের সীমা যতদূর দেখতে পারছেন ততদূর মানুষ কেউ কর্ম ব্যস্ততায়, কেউ টং - এর দোকানে চা বিক্রি করছে আবার কেউ গ্লাসের সাথে চামুচের টিং টিং শব্দের মাধ্যমে মিশে যাও দুধ, চিনি দেওয়া চা খাচ্ছে। কেউ ভ্যান, রিক্সা, আটো, মোটরসাইকেল, সাইকেল, গাড়ি ইত্যাদি চালাচ্ছে। কেউ আবার ঐ চলন্ত রিক্সায় তাড়াহুড়ো, চঞ্চলতা নিয়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাচ্ছে। আবার কেউ রিক্সায় বসে পরিবেশ উপভোগ করছে। আর লম্বা রাস্তার দুই পাশে থাকা ফুটপাতটি জোরদখল করে জীবিকার টানে কিছু ছোট ছোট কাপড়, তালা-চাবি মেরামতকারীর, ঝালমুটির, চটপটি-ফুচকা কিংবা বিভিন্ন জুস কর্ণার বা ফুড কর্ণারে দোকান তাদের মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্য আর জীবিকারটানে দর-দাম হাকাচ্ছে। ক্রেতারাও প্রয়োজনের তাগিদে ৫ টাকার পণ্য ১০ টাকায় কিনার জন্য ভীড় করছে।
আগে যেখানে ১০টাকা ঝাল মুড়ি বানাতে ৭-৮ মুট মুড়ি নিতো সেখানে আজকের সময় ব্যবসায়ীরা ১০ মুট মুড়ি নিয়ে চামুচ ব্যবহার করে দুই মুট সমপরিমাণ মুড়ি ১০টাকা করে ৫ জনের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে। আপনাকে বুঝতে হবে এ শহরে পণ্যের মূল্য অনেক বেশি, কমতেই চায় না।
এতো সব ভীড় ব্যস্ততা দেখে আপনার চোখটা আকাশ দেখতে চাইলো আপনিও সাদা মনে আকাশের দিকে তাকালেন... ওমা একি !!!! কি ঝুলে আছে এসব ল্যাম্পপোস্ট থেকে ল্যাম্পপোস্টে... দৃষ্টি সীমায় সব ল্যাম্পপোস্টেই কি যেন ঝুলে আছে। পরে আকাশ দেখা থেকে চোখের অধিকারচুত করে মনোনিবেশ করলেন ঝুলে থাকা বস্তুর উপর... পড়ে দেখলে, নির্বাচনী প্রচারের স্বার্থে বিভিন্ন মার্কার প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী পরিচিতি প্রিন্ট করে দড়ির সাহায্যে রাস্তার পাশে সল্প দূরত্বে স্থাপন করা ল্যাম্পপোস্টেগুলোকে ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। তারপর আপনার কানে ভেসে আসলো "দুই বড় না তিন বড়, আমুক ভাইয়ের মন বড়", "এতো তারিখ সাড়া দিন আমুক মার্কায় ভোট দিন" আরো আরো বিভিন্ন গান, কবিতা, ছন্দে - ছন্দে মনের আনন্দ মাইকিং করে যাচ্ছে। আর আপনি ঐ রাস্তায় দাঁড়িয়ে এসব কিছু অনুভব করছেন।
কিছুক্ষণ পর শুনতে পেলেন কেউ সালাম দিলো আপনি গোড় কাটিয়ে চমকে সালামের উত্তর দিলেন, সালাম দেওয়া মানুষটি বললেন ভাইয়া আমি অমুক পদে আমুক ওয়ার্ডের, অমুক মার্কার নিয়ে নির্বাচন করছি, আপনার মূল্যবান ভোট টা অমুক মার্কায় দিবেন। এই বলে, লিফলেট একটা ধরিয়ে দিয়ে কেটে পড়লো।
আর আপনি আবারও গোড়ে চলে গেলেন কারণ পুরো কল্পনার জগতে তো আপনি আপনার ভোটার আইডি নেন নি.. 🤣।
কিছুক্ষণ পর শুনতে পেলেন কেউ সালাম দিলো আপনি গোড় কাটিয়ে চমকে সালামের উত্তর দিলেন, সালাম দেওয়া মানুষটি বললেন ভাইয়া আমি অমুক পদে আমুক ওয়ার্ডের, অমুক মার্কার নিয়ে নির্বাচন করছি, আপনার মূল্যবান ভোট টা অমুক মার্কায় দিবেন। এই বলে, লিফলেট একটা ধরিয়ে দিয়ে কেটে পড়লো।
আর আপনি আবারও গোড়ে চলে গেলেন কারণ পুরো কল্পনার জগতে তো আপনি আপনার ভোটার আইডি নেন নি.. 🤣।
এই লেখা লিখতে লিখতেও ১টি ট্রেডিশানাল মাইকিং, ১টি ডিজিটাল রেকর্ডেট মাইকিং ও ১টি মিছিল আমার কপালের দুই পাশে থাকা দুই নার্ভকে উত্তেজিত করে এবং মাথায় ১ কেজি সমপরিমাণ চাপ উপহার দিয়ে চলে গেলো।
No comments:
Post a Comment