কেউ চলে গেলে মানুষ কাঁদে, এটা মানুষের স্বাভাবিক গতি।
কিন্তু কেন কাঁদে?
প্রত্যক্ষ ভাবে যদিও মনে হয়ে মানুষটি অন্য কেউ চলে গিয়েছে সেই জন্য কান্না করছে।
এহেহহহ!!! কিন্তু ব্রো কাহিনী মোটেও এমন না।
পরোক্ষভাবে, মানুষটি যখন কাঁদে তখন নিজের জন্যই কাঁদে।
কিভাবে এমনটা বলছি তা ভাবছেন?
ধরে নিন, আপনি x পদার্থকে পছন্দ করেন। তাকে দেখলেও ভালো লাগে, ধরলেও ভালো লাগে, ভাবতেও ভালো লাগে মোট কথায় আপনি x পদার্থ দ্বারা শান্তি পান আরো সহজ ভাষায় এর মাধ্যমে আপনার ডোপামিন ক্ষরণ হয় আপনি প্রফুল্ল অনুভব করেন।
এহেহ ব্রো কাম টু মেইন পয়েন্ট,
এবার ধরেন নিন, আপনার খুব পছন্দের x পদার্থটি মারা গিয়েছে বা অন্য কেউ নিয়ে গিয়েছে বা যাবে। তখন আপনার ভিতরে একটা দুঃখের সৃষ্টি হবে আপনার ভিতরে সিরোটোনিন হরমোন আপনাকে পেয়ে বসবে আপনি হতাশ হবে আপনি কান্না করবে, আপনি একা বোধ করবেন।
এখন বলেন তো কান্না কেন করবেন?
হ্যাঁ, স্মার্টলি বলার জন্য বলতেই পারেন সিরাটোনিন উৎপাদন হবে যার কারণে আপনি কান্না করবেন। কিন্তু, ব্রো স্মার্ট উত্তর বাদ দেন। আসল উত্তর বলেন। আর তা হলো ঐ যে x পদার্থ থাকে নাই তাই আপনি কান্না করছেন।
আচ্ছা এবার বলেন তো কার জন্য আপনি কান্না করছেন?
সচরাচর উত্তর পাওয়া যায় x পদার্থের জন্য। কিন্তু ব্রো আমার এতো কাহিনী লেখার উদ্দেশ্যই এখানে আর তা বলতে দুঃখজনক হলেও সত্যিটা হচ্ছে, "আপনি আপনার জন্য কান্না করেছেন"। হ্যাঁ!!! আপনার মনেই হবে আপনি ঐ পদার্থের জন্য কান্না করছেন কিন্তু একটু ঠান্ডা মাথায় ভাবুন, আপনি ঐ পদার্থের সাথে থাকলে শান্তি উপভোগ করতেন কিন্তু যখন নাই আপনি ঐ শান্তি টা পাচ্ছেন না। যেহেতু x পদার্থটির আপনার আশেপাশে অস্তিত্ব আর নেই তাই আপনার ভিতর এই ডোপামিন ক্ষরণ হচ্ছে না তার জায়গা নিলো সিরাটোনিন যার কারণে আপনি হতাশ হচ্ছে একা বোধ করছেন তাই আপনি কান্না করছে।
এই সেম্পলটা কান্নার যে কোনো কারণের সাথে মিল করলে উত্তর একই থাকবে।
উপসংহার: মানুষ কারো জন্য কিছু করে না যা করে নিজের জন্য। "পৃথিবীতে সবাই সবার বুঝটাই বুঝে, এখনো প্রত্যক্ষভাবে বা এখনো পরোক্ষভাবে"।
--জীবন সুন্দর--
এই পর্যন্ত কেউ যদি পড়ে থাকেন, যদি কোনো ভুল পান তাহলে জানাবেন।
এই ব্যাপারে আপনার মত দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করুন।
No comments:
Post a Comment